আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সকল সংগঠনের সম্মেলন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৩০ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে এই সম্মেলনগুলো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সকল (সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম) সংগঠনের সম্মেলন করে ফেলব।’
ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলনও করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হবে। সব সংগঠনের সম্মেলন হবে।’
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের বিভিন্ন প্রস্তুতিসভা ও ধারাবাহিক কর্মসূচি হচ্ছে উল্লেখ করে তাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে এটা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয়। দলের এসব কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত।’
বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহযোগিতা ছাড়া বিএনপির সভা-সমাবেশ এখনো অচল।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখনও জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বড় পৃষ্ঠপোষক।’
জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির গুটিকয়েক সংসদ সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাতে কি সংসদ অচল হয়ে যাবে? এটা বিএনপির দলের সিদ্ধান্ত, সরকারের নয়।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলের মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর কাজী জাফর উল্লাহ, ডক্টর আবদুর রাজ্জাক, মো. ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।