সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে নতুন নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ। নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রত্যাশা অনেক। তবে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনাই নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। নতুন ইসি কাজ দিয়ে জাতির কাছে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবেন বলে আশাবাদী তারা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনকে আমি স্বাগত জানাই। প্রেসিডেন্ট যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তারা সবাই সিনিয়র এবং কর্মক্ষেত্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ। আশা করবো সকলের প্রত্যাশা পূরণ করে কাজ করে যাবেন তারা। যতক্ষণ তারা নির্বাচন কমিশনে কাজ শুরু না করছেন ততক্ষণ তো আর তাদের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। আসলেই কি তারা সকলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন? নাকি পারবেন না।
নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন নতুন নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দিয়েছেন অবশ্যই ভালো হয়েছে। আমার কাছেও ভালো মনে হয়েছে। এখন নতুন কমিশনকে তাদের কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। আশা করছি তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নতুন কমিশন নিয়ে আমি আশাবাদী। আমার প্রত্যাশা তারা তাদের আগের কমিশনকে অনুসরণ না করে ভিন্ন কিছু করে দেখাবেন। জনগণের আস্থার মর্যাদা রাখবেন। তারা ভালো কাজ করলে জনগণ বুঝতে পারবে তারা ভালো কাজ করছেন। নতুন কমিশনকে আগে কাজ করে দেখাতে হবে। তারা কেমন কাজ করতে চান আগে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করুক। জাতির কাছে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক। তারপর এই কমিশনের মূল্যায়ন করা হবে।