ইউক্রেনে নিহত হাদিসুর রহমান ঘটনার দিন আসরের নামাজের আজান নিজেই দিয়েছিলেন। তিনি সব সময় সৎ পথে চলার জন্য ডেকেছেন। এত ছোট বয়সে কত বিনয়ী ছিল তা বলার মতো নয়। হাদিসুরের জানাজার নামাজের আগে স্মৃতিচারণ করে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শপিং কর্পোরেশনের মহা ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আবু সুফিয়ান।
তিনি আরও বলেন, আসরের আজান দেওয়ার পর নামাজ পরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইরে বের হন। ঠিক তখনই রকেট হামলায় নিহত হন হাদিসুর। এই মৃত্যু শহিদি মৃত্যু।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ রাতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে রকেট হামলা চালায় রুশ সেনারা। এ হামলায় জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফ নিহত হন। পরের দিন ৩ মার্চ সন্ধ্যায় অক্ষত ২৮ নাবিক এবং হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেওয়া হয়। সেখানে হাদিসুরের মরদেহ রেখে বাকি নাবিকদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৯ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে তারা দেশে ফিরেছেন। সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ১৪ মার্চ দেশে ফেরে হাদিসুরের মরদেহ। ওই দিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বরগুনার বেতাগীতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ পৌঁছে। সকাল ১০টায় জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হবে।
হামলায় নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফ বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।