ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, একটি অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতাকে কৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করে বৈশ্বিক হানাদার শক্তির দৃষ্টি আকর্ষণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঘাদানিকের শ্বেতপত্রকে ‘গণনাগরিক অবমাননা’ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, কথিত শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের এক ধরনের রাখঢাক, লুকোচুরি ও মিডিয়াবাজি প্রমাণ করে যে, তারা সারবত্তাহীন অভিযোগপত্র নিয়ে নাগরিকদের মাঝে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, সবাই জনগণের স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। সবাই জনগণের সঙ্গে অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছেন। গণ-মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দেশ শাসনের নামে জনগণকে জিম্মি করে রেখেছেন। জনগণের সব মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করেছে। গণতন্ত্রের নামে সর্বত্র দলীয়করণ এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। গুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট এবং সুদ ও ঘুষকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। শাসক শ্রেণির এহেন কর্মকাণ্ডের ফলে স্বাধীনতা আজ অর্থহীন হয়ে পড়েছে। গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। জাতিকে নেশাগ্রস্থ করতে মদের বিধিমালা প্রণয়ন করতে সরকার ও তাদের দোসররা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। দেশ আর এভাবে চলতে পারে না।
শনিবার (২১ মে) বিকেলে খুলনা রেলস্টেশন সংলগ্ন কদমতলা রোডে অনুষ্ঠিত দলীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের সম্মানিত ১১৬ জন আলেম, ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের প্রতিবাদ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা-সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী মনের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খুলনা বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
শেখ মো. নাসির উদ্দিন, হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব ও মুফতি ইমরান হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, হাফেজ মোস্তাক আহমেদ, মাও. রফিকুর রহমান, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহহিয়া, মাও. জিহাদুল ইসলাম, মাও. আলী আহমদ, মুফতি ওসমান গনি মুছাপুরি, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মারুফ, ড. কেএম আল-আমিন এহসান, এইচএম সাইফুল ইসলাম, মুফতি আমানুল্লাহ, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম, মাওলানা তাসনীম, ডা. কাজী ওয়ায়েস কুরনী, হাফেজ মনিরুজ্জামান, মুহা. আইউব আলী মিয়া, হাসানুজ্জামান সজিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমাদ আলী, ডা. এইচ এম মোমতাজুল করিম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, আলহাজ আব্দুল হালীম, আলহাজ শামসুদ্দিন মোল্লা, মুফতি মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আবু সাইদ শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, আলহাজ্ব মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মাওলানা শাইখুল ইসলাম বিন হাসান, আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ জাহিদুল ইসলাম, মুহা. মেহেদী হাসান, আলহাজ আবুল কাশেম, মুহা. সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদি, মুফতি আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ নোমান, গাজী ফেরদাউস সুমন, মাওলানা হারুন অর রশিদ, মাওলানা এস.কে নাজমুল হাসান, মুফতি শেখ আমীরুল ইসলাম, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, মুহা. মইনউদ্দিন, ইনামুল হাসান সাইদ, আলহাজ আমজাদ হোসেন, হাফেজ আ. লতিফ, আলহাজ আবু তাহের, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, ফরহাদ মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিজাম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা হাফিজুর রহমান, হায়দার আলী, মুহা. ইমরান হোসেন মিয়া, গাজী মুরাদ হোসেন, মুফতি হেলাল উদ্দিন শিকারী মাওলানা মাহবুবুর রহমান মুফতি ফজলুল হক প্রমুখ।