বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে মালয়েশিয়ায়ও। তবে আসন্ন ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ানরা আরও বেশি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে পারেন। এক জরিপের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
রিঙ্গিতপ্লাস মালয়েশিয়ার আর্থিক সাক্ষরতা সমীক্ষা-২০২২ এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার সমীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে আর্থিক তুলনামূলক ওয়েবসাইটটি।
সাধারণ মালয়েশিয়ানরা করোনা মহামারি এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে আর্থিক সঙ্কট, নগদ প্রবাহের সমস্যা এবং সঞ্চয় হ্রাসের সম্মুখীন হচ্ছেন।
জরিপে বলা হয়েছে যে, অংশগ্রহণকারীদের প্রতি দশজনের সাতজন জানিয়েছেন যে তারা মাসে ৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের কম সঞ্চয় করেন বা মোটেও সঞ্চয় করেন না। সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত।
এতে দেখা গেছে যে, মালয়েশিয়ানদের মাত্র ৫% প্রতি মাসে ১৫০০ রিঙ্গিতের বেশি সাশ্রয় করে। এটি ২০২১ সালের তুলনায় ১৫% এবং ২০২০ সালের তুলনায় ২০% কম।
জরিপে আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে, মালয়েশিয়ানরা হাতে কম সঞ্চয় নিয়ে কাজ করতে লড়াই করছে। উত্তরদাতারা ৬৩% শুধু তাদের সঞ্চয় দিয়ে মাত্র তিন মাস বা তার কম বেঁচে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে। মাত্র এক বছর আগের তুলনায় যা ছিল ৫১% কম।
তবে উত্তরদাতাদের ৭১% বিশ্বাস করে যে, তারা তাদের অর্থকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেছে। আর ৪৩% জানিয়েছে যে, প্রতিমাসে যা আয় করে তার থেকে বেশি ব্যয় হয় তাদের।
৮২% মালয়েশিয়ান মনে করেন যেন, অবসরের পর সরকারি কর্মচারী ভবিষ্য তহবিল (ইপিএফ) সঞ্চয় তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। অনেকে অবসর নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নন। ৬৬% উত্তরদাতা মনে করেন যে, ইপিএফ অনুমতি দিলে তারা তহবিল তোলার কথাও বিবেচনা করবেন।
রিঙ্গিতপ্লাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হ্যান লিউ বলেছেন যে, মহামারির আর্থিক প্রভাবগুলো ধ্বংসাত্মক হয়েছে এবং এই বছরের সমীক্ষার ফলাফল নিশ্চিত করে যে মালয়েশিয়ানরা বাস্তবে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
তিনি বলেন, ‘এই বাস্তবতা কেবল জনগণের জন্যই নয়, নীতিনির্ধারক এবং শিল্পের জন্যও। এর দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রয়োজন।’