বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত এনবিএফআই স্ট্যাটিকটিকস এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ টাকার অঙ্কে বাড়লেও মোট আমানতের অংশ কমেছে। মোট আমানতের মধ্যে স্থায়ী বা ফিক্সড আমানতের অংশ ২০২৩ সাল শেষে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২২ সাল শেষে তা ছিল ৯৭ দশামিক ৩৯ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।
আমানতের ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ৪১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা ঢাকা বিভাগে। আর সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বা ৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকার আমানত রয়েছে বরিশাল বিভাগে। আমানতের মতো ঋণের সিংহভাগই ঢাকা বিভাগে। গত ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণে ৮৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৬১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা ঢাকা বিভাগেই দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর সবচেয়ে কম ঋণ স্থিতি ছিল বরিশাল বিভাগে ৩৭১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৩৫টি এনবিএফআইয়ের সারা দেশে মোট শাখা সংখ্যা ছিল গত ডিসেম্বর শেষে ৩০৮টি, যার মধ্যে শহর এলাকায় ২৮৬টি।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘স্মার্ট সুদহার এর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ মার্জিন যোগ করে আমানত ও সাড়ে পাঁচ শতাশং যোগ করে সুদে ঋণ দিতে পারবে এনবিএফআই। এতে চলতি মার্চে নতুন আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ হবে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ আর ঋণ সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ।