আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটা হয়েছে জমজমাট। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে টাইব্রেকারে ডাচদের হারিয়ে শেষ চারের টিকেট কেটেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। তবে মাঠের লড়াইয়ের বাইরেও সেদিন আলোচনায় ছিল ম্যাচ পরিচালনায় থাকা রেফারি। একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও মাতেও লাহোজ।
আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দায়িত্বে থাকা লাহোজ অদ্ভুত এক রেকর্ড গড়েছেন সেদিন। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে সব মিলিয়ে ১৮টি কার্ড দিয়েছেন এ রেফারি, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসেই এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ম্যাচে আর্জেন্টিনা দল হলুদ কার্ড দেখেছে ১০টি। এর মধ্যে দুটো পেয়েছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি আর তার সহকারী।
হলুদ কার্ড দেখা ৮ খেলোয়াড়ের মধ্যে ছিলেন মেসিও। আর টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার জন্য তো সেমিফাইনালেই খেলা হবে না মার্কোস আনুকিয়া ও গনসালো মনতিয়েলের। রেফারির এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ম্যাচ পরিচালনায় যথারীতি চটেছেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ফিফার উচিত বিষয়গুলো খেয়াল করা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচে এই ধরনের একজন রেফারিকে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়।’
সময়ের অন্যতম সেরা তারকার কথা শুনেছে ফিফা। কাতার বিশ্বকাপে আর কোনো ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন না রেফারি লাহোজ। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ থেকেই তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে ফিফা।
শুধু মেসি নয়, আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজও ম্যাচ রেফারি লাহোজকে নিয়ে ছিলেন বিরক্ত। অধিনায়ক মেসির সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তিনিও রেফারিং নিয়ে বলেছিলেন, ‘মনে হচ্ছিল, রেফারি সবকিছু তাদের (নেদারল্যান্ডস) দিচ্ছে। তিনি কোনো কারণ ছাড়াই ১০ মিনিট যোগ করা সময় দিয়েছেন। বক্সের বাইরে দু-তিনবার তাদের ফ্রি-কিক দিয়েছে। তিনি চাইছিলেন, তারা গোল করুক। আশা করছি, এই রেফারি আর থাকবেন না। তিনি একজন অপদার্থ!’