বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত শিল্প ও সেবা খাতের জন্য দেওয়া ২৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজে যুক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার কোটি টাকা। অতিরিক্ত এই টাকা থেকে দেশি-বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, আলোচ্য প্রণোদনা প্যাকেজের ৩য় ও সর্বশেষ পর্যায়ের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহের (সিএমএসএমই ব্যতীত) জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার কোটি টাকা। বেজা, বেপজা ও বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষতে অবস্থিত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ টাইপ শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ওই অঞ্চলসমূহের বাইরে অবস্থিত শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন/যৌথ মালিকানাধীন (দেশি ও বিদেশি) প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলো। এ নিয়ে এই খাতে সর্বমোট ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলো। যেসব প্রতিষ্ঠান প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা পায়নি তাদের অনুকূলে ৩য় পর্যায়ে ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্থিতিভিত্তিক ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ মঞ্জুরিকৃত/প্রদত্ত সীমার ভিত্তিতে প্রাপ্যতা সীমা নির্ধারিত হবে।
এই প্যাকেজের আওতায় এখনো পর্যন্ত কোনো ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা না পাওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছে সেগুলোকে নতুন করে প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ৩য় মেয়াদে ঋণ/বিনিয়োগের সম্মতিপত্র প্রাপ্তির জন্য ‘সংযোজনী ক-২’ সহ আবেদন করতে হবে। প্যাকেজের আওতায় ৩য় পর্যায়ে সম্মতিপত্র প্রদান করা ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ কার্যক্রম আগামী বছরের (২০২৩ সালের) ৩০ জুন শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে এর আগে জারি করা সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।