টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন শুরু হয় ২০০৭ সালে। উদ্বোধনী আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সে আসরে ভারতের দলে ছিলেন রোহিত শর্মা। আইসিসির এ টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে খেলেছিল বাংলাদেশও। সে আসরে টাইগারদের দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই সূত্রেই দারুণ এক রেকর্ড নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করছে সাকিব এবং রোহিত।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত এ টুর্নামেন্টের সবগুলো আসরেই খেলেছেন সাকিব ও রোহিত। ২০০৭ সালে। এরপর একে কে হয়েছে ৮টি আসর। ২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১, ২০২২- পূর্বের ৮ টি আসরেই খেলেছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা কেবল ২। ভারতের রোহিত শর্মার সঙ্গে এই রেকর্ডে থাকা আরেকজন হলেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপের সবগুলো আসরেই খেলতে পারা গর্বের ও আনন্দের বলেই জানিয়েছেন সাকিব। বিসিবি প্রকাশিত ভিডিও সিরিজ দ্য রেড গ্রিন স্টোরিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো সবগুলোতেই অংশ নিতে পেরেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। একই সময়ে যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। আমি এবং রোহিত শর্মাই হয়তো মাত্র দুজন খেলোয়াড় যারা সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে।’
এদিকে ৮ টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নবম আসরে খেলতে চলেছেন সাকিব। এর আগে জানিয়েছেন, এখানেই থামতে চান না তিনি। সম্ভব হলে খেলবেন আরও একটি আসরে। তিনি বলেন, ‘আশা করব আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটা যেন ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।’
এবারের বিশ্বকাপে সাকিবের লক্ষ্য কি থাকবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমার নামের পাশে আমি কিছু দেখতে চাই না। একটি জিনিসই চাই যেন বাংলাদেশের হয়ে অবদান রাখতে পারি। এই বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।’