বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঢাকাতেও লকডাউন আছে। আপনি লকডাউন কোথাও দেখতে পান? কোথায় লকডাউন? আমি তো দেখতে পাই না। মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যার যেখানে খুশি যাচ্ছে, যার যেখানে যা খুশি করছে, এমনকি বিয়েও হচ্ছে। আমি পরশু দিন দেখলাম একটা হোটেলে বিয়েও হচ্ছে। এই যে সরকারের পুরোপুরি উদাসীনতা এবং এটা লোক দেখানো একটা ব্যাপার। এটা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। তারা দেখাচ্ছে যে, আমরা লকডাউন দিচ্ছি, চেষ্টা করছি।
এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া দুরভিসন্ধিমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনআইডি প্রকল্পের বিষয়ে ইসি চিঠি দেওয়ার পরেও সরকার সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে দুই লাইনের একটা চিঠি দিয়ে। এটা একটা অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েও তারা (সরকার) একটা চক্রান্ত, একটা ষড়যন্ত্র করতে যাচ্ছে যাতে তারা জনগণের পরিচয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমরা এ হেন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি। সরকারকে তার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত আঙ্কটার্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এখানে বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় ১১% কমে গেছে। এটার কারণটা হচ্ছে যে, আঙ্কটার্ড ও বিশ্বব্যাংকের লোকেরা বলছেন, এখানে বিদেশিদের বিনিয়োগ করার কোনো পরিবেশ নেই। কেন নেই? এখানে যে দুঃশাসন, গুড গর্ভনেন্সের অভাব, দুর্নীতি এবং সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে এখানে যখন কিছু বিনিয়োগ করতে যায় তাকে কেঁদে কেঁদে সব ফেলে দিয়ে যেতে হয়। তারপরে কন্সট্রাকশন করতে গেলে চাঁদা দিতে হয়। এখানে কোনো বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করে না। অথচ সরকারের ঢোল বাজছেই—উন্নয়ন উন্নয়ন উন্নয়ন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নটা কোথায়? কয়েকটা ব্রিজ তৈরি করা, কয়েকটা উড়াল সেতু তৈরি করা, এগুলোকে উন্নয়ন বলব নাকি? উন্নয়নটা সেটা, যেটাতে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়, অভাব কমে। যেখানে দরিদ্রের সংখ্যা বেড়ে গেছে দুই কোটি সেখানে কোন যুক্তিতে উন্নয়ন বলতে পারি?