আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মানুষের শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানসহ সবকিছুর জন্য কাজ করে এবং মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই, আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে… এটা আমার কথা না, হাইকোর্টের রায় আছে যে, বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। যাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ, তারাই ভোট চুরি করে। তারা ভোট চুরি ছাড়া জিততে পারে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেন নির্বাচন বানচাল করবে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে উন্নয়ন হয়েছে। ৭৫’-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে ও সংবিধান লঙ্ঘন করে… তারা মানুষের ভাগ্য গড়েনি।
তিনি বলেন, তাদের আমলে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিষিদ্ধ, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতেও ভয় পেতেন। সে সময় অনেকে লুকাতেন, ভয় পেতেন… তারা (বিএনপি) ঠিক সেই অবস্থায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া, তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, পাশাপাশি এ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের যে গতিটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব করেছিলেন, সেটিও থেমে যায়। সেই যে ২৭৭ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় জিয়ার আমলে ও এরশাদের আমলে… কোনো আমলেই সেই মাথা-পিছু আয় আর বৃদ্ধি পায়নি। বরং জিয়ার আমলে প্রতি বছর তা মাইনাস হতে থাকে। তারা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য না গড়লেও ক্ষমতাসীনদের ভাগ্য গড়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস।