আগামীকালের সমাবেশ ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ কোনো অশান্তি করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে, তারা অশান্তি করতে কেন যাবে-এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি। বিএনপি অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়ে দেবে অশান্তির বিরুদ্ধে এ দলের অবস্থান। তিনি বলেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি, আগামীকালও শান্তি সমাবেশ করব। আমরা অশান্তি করতে চাই না, আমরা সরকারে আছি, আমরা কেন অশান্তি করব? বিএনপি অশান্তি করতে চায়।
এ সময় রাজনৈতিকভাবে বিএনপির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতির আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের৷ তিনি বলেন, এদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে চলবে নাকি অন্য কিছুর আদলে চলবে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বিএনপি বুঝতে পেরেছে জনগণের ভোটে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা সম্ভব নয়, তাই তারা সন্ত্রাসের পথে এগোচ্ছে।
মিথ্যা প্রেস রিলিজ দিয়ে বিএনপি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুলরা ঘরে বসেই রাজনীতির খেলা দেখায়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নামের অপশক্তিকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া উচিত নয়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি নামের অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অশান্তি চায় না, শান্তি পূর্ণ নির্বাচন চায়। যারা নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারাই অশান্তির পক্ষে, বিশৃঙ্খলা করে শান্তির পরিবেশটা ধ্বংস করতে চায়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইআরআই জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে চায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকতে দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা কোনো কিছুই ব্যাহত হতে দেবে না।
সভা-সমাবেশে পুলিশের অনুমতি নিয়ে মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করছেন দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে অনুমতি ছাড়া কোনো প্রকার সভা সমাবেশ করতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলকে কথা নয় কাজে প্রমাণ করতে হবে বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবকিছুতেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুঁজে নির্বাচনের আগে এবং পরেও। আওয়ামী লীগের কথায় কাজে মিল রয়েছে কি না, সেটাই বিষয়; ফখরুল কী বলছে না বলছে সেটা বিষয় নয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।