প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে দায়িত্ব পালন করব। আমরা কতটা সৎ ছিলাম, দায়িত্ব পালন করেছি, সেটি পরে মূল্যায়ন করতে পারবেন। আমরা প্রত্যাশা করি সবাই নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবেন। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আমরা শপথ নিয়েছি। তার আগের দিন (আমাদের) নিয়োগ হয়েছে। আজকে আমরা যে (প্রথম) সভা করেছি, সেটা নিজেদের মধ্যে পরিচিতি পর্ব ছিল। কমিশনের কর্মপরিধি সম্পর্কে সচিব আমাদের অবহিত করেছেন। সেজন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। সিইসি বলেন, আমরা খুব অভিজ্ঞ নই। আমি একেবারেই নতুন। তবে গণমাধ্যমে নির্বাচনের খবর দেখেছি। নির্বাচন ঘরে বসে পর্যবেক্ষণ করেছি। কিছুটা অস্বচ্ছ হলেও ধারণা আছে। আমরা সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে দায়িত্ব পালন করব। আমরা কতটা সৎ ছিলাম, দায়িত্ব পালন করেছি, সেটি পরে মূল্যায়ন করতে পারবেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি সবাই নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবেন। যারা নির্বাচন করবেন তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব কমিশনের। কর্মপদ্ধতি কী হবে সেটি ঠিক করিনি। তবে জানতে কিছু জ্ঞান অর্জন করেছি। সাংবিধানিক শপথ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন বিশাল কর্মযজ্ঞ, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ থাকে। সবার আবেগ বুঝতে হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রয়েছে। নির্বাচনে অনেক (দলের) কর্মী থাকে, সেখানে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মাঠ ছেড়ে এলে হবে না। মাঠ ছেড়ে গেলে হবে না, মাঠে থাকতে হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেনেস্কি পালিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের জন্য নির্বাচন করে না। একটি সরকার তো থাকবেই। যেমন ওয়ান-ইলেভেনে একটা সরকার ছিল, আবার নির্দলীয় সরকারও ছিল। তাদের অধীনেও কমিশন থাকে। এখন যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা আছে, আমরা চেষ্টা করব, ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারেন, তাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করব। বিএনপি যদি ঘোষণা দিয়েও থাকে (ভোটে না আসার বিষয়ে), তাদের কি আহ্বান জানাতে পারব না? কোনো কিছুই শেষ নয়। আমরা তো তাদের চা খেতে আমন্ত্রণ জানাতেও পারি। ব্রিফিংকালে নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।