বিএনপি সরকারবিরোধী যে আন্দোলন করে আসছে সেটা এখন চূড়ান্ত ধাপে বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এজন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবনভিত্তিক বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন চূড়ান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলনে এরই মধ্যে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই আন্দোলনে চালিয়ে যেতে হবে।’
জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা বলে শেষ করে যাবে না। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে বলে অখ্যাত। ঠিকই কিন্তু এই অখ্যাত মানুষটাই দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছেন। যখন জাতি দিশেহারা, তখন তিনি সাহসী কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমি মেজর জিয়া বলছি। আই রিভোলট।’
দলের প্রতিষ্ঠাতার কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সত্যিই দেশের অগ্রদূত হয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। যখনই ক্রান্তিকাল দেখা দিয়েছে তখনই তিনি মানুষের হয়ে বেরিয়ে এসেছেন। জাতি যখন দিক হারিয়ে ফেলেছিলেন, তখনই তিনি মানুষের জন্য অগ্রনায়ক হয়ে এসেছেন। সেটা হলো পঁচাত্তর পরবর্তী সময়। যখন দেশের মধ্যে অরাজকতা চলছিল। সেদিন এই অখ্যাত মানুষটিই দায়িত্ব নিয়ে তিনি দেশের মানুষকে নিয়ে কাজে নেমে পড়েছিলেন।’
এসময় জিয়াউর রহমান ও বিএনপি নেতাদের কাজ নিয়ে জাদুঘর করার ভাবনা আছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘আজ বিশ্বের কাছে এই সরকারের ভোট চুরির কর্ম প্রমাণিত হয়েছে। আজ তারাও এদেরকে বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না। বিশ্ব জানে এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এটা আশা করা যায় না। তাই এদেরকে পতন করিয়ে আমাদের যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা যে চূড়ান্ত লক্ষ্য তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, প্রফেসর ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম প্রমুখ।