আমদানির পর সপ্তাহের ব্যবধানে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ প্রায় অর্ধেক দামে নেমে এসেছে। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। গেল সপ্তাহেই যা ১০০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছিল। এতে স্বস্তি ফিরছে ক্রেতাদের মাঝে।
নিত্যপণ্য পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আমদানির সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। আমদানির অনুমতির শুরুর দিনেই বিপুল পেঁয়াজ এসেছে ভারত থেকে। এতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এই দর আরও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার (০৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে প্রচুর আমদানি করা পেঁয়াজ। বেচা-বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।
রাজধানীর মুগদা এলাকার ব্যবসায়ী তৌহিদ বলেন, কয়েকদিন আগে দাম বেশি থাকার কারণে ক্রেতারা পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছিল। যিনি এক কেজি কিনতেন, তিনি কিনেছেন আড়াইশ গ্রাম। দাম কমায় এখন সবাই কিনছেন। দাম কম হওয়ায় মানুষ আমদানি করা পেঁয়াজটাই বেশি কিনছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরিদ বলেন, আজ অনেক দিন পর দেড় কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। এতদিন দাম বেশি ছিল তাই অল্প করে কিনতাম। এক পোয়া-হাফ কেজি করে কিনে আগের থেকে বেশি দিন চালিয়েছি। সরকারের আরও আগেই আমদানি করা উচিত ছিল। তাহলে আর আমাদের কষ্ট হতো না।
এদিকে গেল তিন দিনে মোট ৮ হাজার ৩০০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে। বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তিন দিনে মোট ৪ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ৮ হাজার ৩০০ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। আরও পেঁয়াজ স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।
এর আগে দামে লাগাম টানতে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর দেশে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই দেশে পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করে। এতে পেঁয়াজ বাজারও অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।