ক্রমাগত ভাঙনের কারণে গত কয়েক বছরে এ গ্রামের নদী তীরবর্তী বেশকিছু ঘরবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ক্ষেত বিলীন হয়ে গেছে। বিগত সময়ে এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেকবার আবেদন করা হলেও কোনো ফল হয়নি। যে কারণে তারা নিজ উদ্যোগেই বেড়িবাঁধ তৈরি করছেন।
শুক্রবার শতাধিক গ্রামবাসী মিলে ভাঙন প্রতিরোধে বেড়িবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেন। এ সময় দোরান নগর গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী রথিন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, গ্রামের মধ্যে নদীর পার ভাঙছে অনেকদিন ধরেই। ফসলি জমিও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বছর পাঁচেক ধরে এই ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে। এ থেকে রক্ষা পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে অনেকবার ধরণা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। বিধায় নিরুপায় হয়ে নিজেদেরকেই উদ্যোগ নিতে হয়েছে।
স্থানীয় ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মন্ডল বলেন, গত বছর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ, কাঠ দিয়ে ৮টি বেড়িবাধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এবার বাঁধটি আরও মজবুত করতে নতুন করে ইট, বালু, রড দিয়ে কংক্রিট ঢালাইয়ের পিলার যুক্ত করা হচ্ছে। এতে এবার অন্তত ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে যার অর্থায়নে রয়েছে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
এ বিষয়ে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান সুজন বলেন, দুরান নগর এলাকায় ভাঙনের খবর আমাদের জানা নেই। সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করার পর সেখানে ভাঙনের তীব্রতা থাকলে আগামী বর্ষার আগেই বেড়িবাঁধ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, সমাজে যারা স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসে তাদের সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।