ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) বসবাসরত বিবাহিত পুরুষরা ঘরে স্ত্রী থাকাবস্থায় আবার বিয়ে করতে চাইলে কাজটি এ মাসেই সেরে ফেলুন। নতুন অর্থবছর থেকে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থবারের মতো বিয়ে করতে হলে গুনতে হতে পারে মোটা অঙ্কের কর।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮৬ সালের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনস (ট্যাক্সেস) রুলস অনুযায়ী বিয়ের ওপর করারোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে। যারা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বিয়ে করবেন, তাদেরকে বৈবাহিক করের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে এ কর আরোপ হতে পারে। ১৯৮৬ সালের আইনের অধীনে এ করারোপ করা হবে। আইন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের এ করারোপের এখতিয়ার থাকলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবার আমরা তা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছি।
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনস (ট্যাক্সেশন) রুলসের ৫০ ধারায় বলা হয়েছে- সরকারের পূর্ববর্তী আদেশে বিয়ের ওপর কর আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন বৈঠক করে করের হার নির্ধারণ করবে, যা মডেল ট্যাক্স শিডিউলে উল্লিখিত পরিমাণের বেশি হবে না।
সিটি কর্পোরেশন মডেল ট্যাক্স শিডিউল ২০১৬-তে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বিয়ের ওপর ভিন্ন ভিন্ন করহারের বিধান রয়েছে। শিডিউলের ১৫২ ধারায় বলা হয়েছে, প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে অথবা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ের ক্ষেত্রে বর ১০০ টাকা পরিশোধ করবেন। প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিয়ের জন্য বর ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন। প্রথম দুই স্ত্রীর জীবদ্দশায় তৃতীয় বিয়ের জন্য বর ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন। চতুর্থ বিয়ের ক্ষেত্রে বর ৫০ হাজার টাকা ফি পরিশোধ করবেন।
তবে স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন হলে অথবা সন্তানহীনা হলে এ নিয়ম কার্যকর হবে না। সেক্ষেত্রে পরবর্তী বিয়ের জন্য ২০০ টাকা দিতে হবে। বিয়ে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ডিএসসিসির এ উদ্রোগ অনুমোদন করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে এরইমধ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বলেছেন, ডিএনসিসি নাগরিকদের ওপর বিবাহ কর কার্যকরের কোনো পরিকল্পনা করেনি।