আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে গত সপ্তাহে একাধিক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে শত শত উৎসুক জনতার উপস্থিতিতে তিন ব্যক্তিকে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তালিবান কর্তৃপক্ষ, তার ফলেই এই নিন্দা।
জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর ওএইচসিএইচআর বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রকাশ্যে মৃত্যদণ্ডে তারা ‘আতঙ্কিত’। পাশাপাশি এই ধরনের ক্রিয়াকলাপকে ‘এক প্রকার নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি’ বলেও উল্লেখ করেছে ওএইচসিএইচআর।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত পাঁচজন আসামীকে জনসমক্ষে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করেছে তালিবান। চুরি, ডাকাতি ও পরকিয়ার মতো অপরাধের জন্য নারীসহ শত শত মানুষকে বেত্রাঘাতও করা হয়েছে গত আড়াই বছরে।
জাতিসংঘের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত রোববার সর্বসাম্প্রতিক প্রকাশ্য বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটেছে পূর্বাঞ্চলীয় লাঘমান প্রদেশে । সেখানে অনৈতিক কাজের অপরাধে ১২ বছর বয়সী এক কিশোর ও এক ব্যক্তিকে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। ওই একই দিনে, বালুচ প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে বাড়ি থেকে পালিয়ে পরকিয়ার দায়ে এক নারী ও এক পুরুষকে জনসমক্ষে ৩৫ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মৌলবাদী তালিবানের প্রতি আহ্বান জানায় যে , ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত যে কোন ব্যক্তি যাতে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়ার অধিকার পায়, বিশেষ করে আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আফগানিস্তানের কার্যত বর্তমান কর্তৃপক্ষ তাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার যাবতীয় সমালোচনাকে নাকচ করেছে। তারা বলেছে, ইসলামি নিয়ম ও নির্দেশিকাগুলির সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি রিচার্ড বেনেট জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তার নতুন রিপোর্টের তথ্যাদি প্রকাশ করবেন।