যেকোনো আসামির ফাঁসি কার্যকরের আগে রায় অনুমোদন নিতে হয় হাইকোর্টের। এরপর আপিল হলে তা নিষ্পত্তি হতে হয়। অনেকক্ষেত্রে রিভিউ আবেদন-নিষ্পত্তির পর আসে কার্যকরের প্রশ্ন। কিন্তু, মোকিম ও ঝড়ু দুই ফাঁসির আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির আগেই ফাঁসি কার্যকর করেছে যশোর কারা কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার শুরু ১৯৯৪ সালে। তখন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার সাবেক একজন ইউপি মেম্বার খুন হন। ২০০৮ সালে মামলার বিচারে মোকিম ও ঝড়ুসহ তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৩ সালে হাইকোর্টও মোকিম ও ঝড়ুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। পরে তারা আপিল দায়ের করেন। এরপর ৮ বছর ঝুলে ছিল মামলাটি। ৩ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসলে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন আইনজীবী। জানতে পারেন, আপিল নিষ্পত্তির আগেই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে ৪ বছর আগে।
৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে পরিবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। আগামী সপ্তাহে আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। মুকিমের আইনজীবী হুমায়ূন কবীর বলেন, আমি ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে তাদের ফাঁসির রায় ইতোমধ্যে কার্যকর হয়ে গিয়েছে। যাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তাদেরকে তদন্তের মাধ্যমে বিচারের প্রক্রিয়ায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
নজিরবিহীন এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় আসামির পরিবার। মুকিমের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, যাদের অবহেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তাদের অবহেলার উপযুক্ত বিচার চাইবো। এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ আদালতের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাইবো। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও চাইবো।