১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন সাকিব আল হাসান। পেশাদার ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘ। লম্বা এই সময়ে জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে অবদান রাখলেও মূলত বোলার সাকিবের কদরই বেশি।
যে পরীক্ষার ফল আসেনি সাকিবের পক্ষে, নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট থেকে। তাই তো প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারটাই শেষ সাকিবের?
আইসিসির ‘রেগুলেশন্স ফর দ্য রিভিউ অব বোলার্স রিপোর্টেড উইথ সাসপেক্ট ইলিগ্যাল বোলিং অ্যাকশনস’ অনুযায়ী, সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তার বোলিং করা এখন বাধার মুখে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার খেলার বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
আইসিসির নীতিমালার ১১.৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বোলিং নিষেধাজ্ঞা পাওয়া খেলোয়াড় তার নিজ দেশের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত সীমারেখা বজায় রেখে বোলিং চালিয়ে যেতে পারেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ক্ষেত্রে ১১.৩ ধারা কঠোর বিধি আরোপ করে। কোনো বোলার যদি একটি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে তার বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা পুনঃপ্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কার্যকর হবে।
তবে ব্যাটার হিসেবে বোর্ড চাইলে তাকে খেলাতে পারবেন। আর তাতে সাকিবের ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোয়াশা।