এ বছর আদর্শ শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনজন। এই তিন শিক্ষক হচ্ছেন- ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক, প্রতিভা মুৎসুদ্দি ও অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। আজ এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ-এর যুগপূর্তি, নৈতিকতা দিবসের আলোচনা, আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা এবং প্রয়াত উপদেষ্টাদের স্মরণ অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এদের মধ্যে অরুণ কুমার বসাক একজন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশে পদার্থ বিজ্ঞানের একমাত্র ইমেরিটাস অধ্যাপক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।
প্রতিভা মুৎসুদ্দি দেশের একজন শিক্ষাবিদ ও ভাষা সংগ্রামী। তিনি নির্যাতিত নিপীড়িত পিছিয়ে পড়া নারীদের নানা সামাজিক রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামেও বিভিন্নভাবে যুক্ত। নির্মোহ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে তিনি সবসময়ই নাম-যশ-খ্যাতি এবং প্রচার প্রপাগান্ডাকে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন। ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ দেশের একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক। তিনি ষাটের দশকে একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি হিসেবে পরিচিতি পান। সে সময়ে সমালোচক এবং সাহিত্য-সম্পাদক হিসেবেও তিনি অবদান রেখেছিলেন। তার জীবনের উল্লেখযোগ্য কীর্তি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, যা চল্লিশ বছর ধরে বাংলাদেশে ‘আলোকিত মানুষ’ তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি ২০০৪ সালে তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৫ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। প্রবন্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি টিভি উপস্থাপক হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।