আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অপরাধ প্রতিরোধে অধস্তনদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। একই সঙ্গে নগরবাসীকে মূল্যবান স্বর্ণালংকার পার্শ্ববর্তী আত্মীয়-স্বজনের কাছে রেখে যাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মার্চ-২০২২ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৫ রোজা শেষ হয়ে গেছে। এখন মার্কেটগুলোতে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকবে। এ সময় মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টি বা টানা পার্টির তৎপরতা বেড়ে যায়। এজন্য থানার টহল পার্টিকে আরো সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল টিম করে এদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ঈদের সময় প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য নগরবাসীর অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যান। তাতে তাদের বাসা-বাড়ি ফাঁকা থাকে।
এ সময় যেন কোনো ধরনের অঘটন না ঘটে এজন্য বাসাবাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রয়োজনে ঢাকা ত্যাগ করা নগরবাসীকে মূল্যবান স্বর্ণালংকার পার্শ্ববর্তী আত্মীয়-স্বজনের কাছে রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না। অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে অপরাধ প্রতিরোধ করতে হবে। ট্রাফিক ডিভিশনের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এজন্য প্রয়োজনে ঢাকার পার্শ্ববতী জেলার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (্ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, বিভিন্ন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।