রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেওয়া গ্যাস সংকট মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার রাতেই বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটির দায়িত্বে থাকা মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন এ কথা জানায়। শেভরন থেকে জানানো হয়, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ করা ছয়টি কূপের মধ্যে তিনটিই সোমবার সন্ধ্যায় চালু করা হয়েছে। বাকি তিনটি মঙ্গলবার চালু হবে।
শেভরন জানায়, গ্যাস ফিল্ড প্রক্রিয়া সিস্টেম লক্ষ্য করেছে যে দুটি উৎপাদন কূপ থেকে বালি বের হচ্ছে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কূপ দুটি থেকে উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনায় সামগ্রিক গ্যাস উৎপাদনের ওপর বড় প্রভাব পড়েছে। কেননা, ত্রুটির ফলে গ্যাস সরবরাহের চাপ কমে যাওয়ায় অনেক অঞ্চলে সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান জানান, ছয়টি কূপ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। এর মধ্যে (সোমবার) সন্ধ্যায় তিনটি কূপ রক্ষণাবেক্ষণ শেষে চালু করা হয়েছে। বাকি তিনটা মঙ্গলবারের মধ্যে চালু হবে।
উল্লেখ্য, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা রয়েছে ৩৭০ কোটি ঘনফুট। আমদানি করা ১০০ কোটি ঘনফুট ও দেশীয় ১৮০ কোটি ঘনফুটসহ দেশে গ্যাসের দৈনিক গড় সরবরাহের পরিমাণ ২৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহ করা হয় ১১০ কোটি ঘনফুট, সেই গ্যাসের মধ্যে ৪৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। আর এতেই গ্যাস সংকট দেখা দেয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।