ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৩ এ নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে আজ মাঠে নামছে টাইগাররা। আগের ৮ ম্যাচের ২টিতে জয় আর ৬টিতে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। তবে লাল-সবুজ দলের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের এই ম্যাচও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা নিশ্চিত করতে হলে মেলাতে হবে বেশ কিছু হিসাব-নিকাশ। তবে বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আরও একটি দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব আছে এই ম্যাচের।
বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ দলে সবথেকে সিনিয়র ক্রিকেটার ৩ জন। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আঙুলের চোটের কারণে আগেই এই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন টাইগার অধিনায়ক। বলা যায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের শেষ ম্যাচ। এদিকে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শেষ হতে চলেছে বিশ্ব মঞ্চে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের ইনিংস।
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর ম্যাচে নায়কদের একজন ছিলেন মুশফিক। এরপরের চার বিশ্বকাপের বাংলাদেশের প্রতিবিধিত্ব করেছেন সুনামের সাথে। বিশ্বমঞ্চে টাইগারদের হয়ে ৩৭ ম্যাচে ৩৫.২৬ গড়ে ১০৫৮ রান করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনেও ছিলেন সফল, ২৫টি ক্যাচ নেয়ার পাশাপাশি ৮টি স্ট্যাম্পিং আছে তার নামের পাশে।
এদিকে মাহমুদউল্লাহ্র জন্য তো এই বিশ্বকাপের মাহাত্ম আরও বেশি। এবারের আসরে টাইগারদের দলে থাকবেন কিনা সে নিশ্চয়তাও ছিল না। আগের ছয় মাস ছিলেন স্কোয়াডের বাইরে। নতুন কোচ চন্ডিক হাথুরুসিংহে দায়িত্ব নেয়ার পর ফেলে দিয়েছিলেন বাতিলের খাতায়, জায়গা হয়নি এশিয়া কাপের দলেও। তবুও দমে যাননি এই সাইলেন্ট কিলার।
দলের বাইরে থাকলেও নিজেকে সবসসময় প্রস্তুত রেখেছেন, যে কোনো মুহূর্তে দলে ডাক পেলে যেন অবদান রাখতে পারেন সেই চেষ্টাই করে গেছেন। তার উত্তম প্রতিদানও পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন, আর বিশ্বমঞ্চে ফিরেই স্বরূপে দেখা দিয়েছেন তিনি। আসরজুড়ে যখন একে একে ব্যর্থ টাইগার ব্যাটাররা, তখন সব ম্যাচেই দলের জন্য লড়াই করেছেন রিয়াদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার দুর্দান্ত শতকের সুবাদেই লজ্জাজনক পরাজয় থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেমির স্বপ্ন পূরণ না হলেও জয় দিয়েই ক্যারিয়ারের বিশ্বকাপ অধ্যায়ের সমাপ্তি করতে পারবেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা।