জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো। ১৯৮১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে। সেই থেকে চলছে দেশ ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লড়াই। তার অনবদ্য নেতৃত্বে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে সেরা সময় পার করছে আওয়ামী লীগ। লড়াই-সংগ্রাম আর মানুষের প্রতি ভালোবাসায়, শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরিই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন। এরপর তারা ভারতসহ একাধিক দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিভিন্ন সময়ে দেশে আসতে চাইলে তৎকালীন সরকার তাতে বাধা দেয়। তবে বাধা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসেন। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানাতে সেদিন বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিলেন লাখো মানুষ। শেরে বাংলা নগরে জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা স্বজন হারানোর কষ্ট ভুলে মানুষের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার
করেন।
শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। একই সঙ্গে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে। সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।