মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঊর্ধ্বলোকে পরিভ্রমণের ঐতিহাসিক ও অলৌকিক ঘটনার স্মারক দিবস পবিত্র শবে মেরাজ আজ সোমবার রাতে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতেই মক্কা শরিফ থেকে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে সপ্তম আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাক্ষাৎ লাভ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসেন। এ কারণেই হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র।
ইসলাম ধর্মমতে, মহানবী (সা.) এই রাতে প্রথমে কাবা শরিফ থেকে বোরাক নামের বাহনে যাত্রা করে ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে যান। সেখানে অন্যান্য নবী-রাসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। এরপর ঊর্ধ্বলোকে সফর শুরু করেন। এ সময় তিনি নভোমণ্ডল, বেহেশত-দোজখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন। সপ্ত আসমান পেরিয়ে তিনি আরশে আজিমে ধনুক পরিমাণ দূরত্বে থেকে মহান আল্লাহ পাকের দিদার লাভ করেন। সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে তার কথোপকথন হয়। এ সফরেই উম্মতে মোহাম্মদির জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়।
ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র এই রাত বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, পবিত্র শবেমেরাজ উপলক্ষে আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবেমেরাজ-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।