আজ ২০ এপ্রিল বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের ৫০তম শাহাদতবার্ষিকী। বৈশ্বিক করোনা মহামারির লকডাউনের কারণে সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি সহযোগিতায় এ উপলক্ষ্যে আজ বাদ জোহর রউফনগরের (সালামাতপুর) গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে তার স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং স্মৃতি সংসদ ও পারিবারিক উদ্যোগে মসজিদে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
পিতা মুন্সী মেহেদী হাসান মাতা মকিদুননেছার একমাত্র পুত্র সন্তান মুন্সী আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের ১লা মে বর্তমান মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের রউফনগর (সালামাতপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১১ বছর বয়সে তার পিতৃবিয়োগ ঘটে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙ্গামাটির মহালছড়ি নৌপথ অঞ্চলে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।
‘৭১-এর ২০ এপ্রিল পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে মুন্সী আব্দুর রউফের মেশিনগানের গুলিতে পাকবাহিনীর দুটি লঞ্চ, একটি স্পিডবোড ডুবে পাকবাহিনীর দুই প্লাটুন সৈন্যের সলিল সমাধি ঘটে। এ সময় হঠাত্ প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত মটার সেলের আঘাতে তিনি শহিদ হন। আব্দুর রউফ শহিদ হওয়ার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃঞ্চ চাকমার সহায়তায় তার কবর শনাক্ত করতে সক্ষম হন। ১৯৯৭ সালে সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।