আজ রবিবার (১৩ জুন) করোনা প্রতিরোধী বাংলাদেশকে দেয়া চীনের উপহারের ছয় লাখ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছুবে। এই উপহার দ্বিতীয় দফার। টিকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার। টিকার চালান বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের পথে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপপ্রধান হুয়ালং ইয়ান। এর আগে ১২ মে চীনের উপহার হিসেবে দেওয়া সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। আগাম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। ভারত সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম। শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের টিকাদান কর্মসূচি।
এরপর সরকার টিকার জন্য দ্বারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার। চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি আর যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন। এদিকে,কোভ্যাক্স থেকে শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। শুক্রবার (১১ জুন) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা জানিয়েছেন।