আজ বুধবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রেলের ইতিহাসে প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’। বাংলাদেশ রেলওয়ের তৈরি দেশের এ প্রথম ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রেনের দুটি বগিকে রূপান্তরিত করা হয়েছে ডিজিটাল জাদুঘরে। ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনকাল। প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে জনসাধারণের জন্য বিনা মূল্যে পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এটি।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে এ উদ্যোগ। আধুনিক প্রযুক্তি আর নান্দনিক কারুকাজে মোড়া এ কক্ষটি আসলে ট্রেনের একটি যাত্রীবাহী বগি। যাতে উন্নত প্রযুক্তি আর দৃষ্টিনন্দন কারুশৈলীতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ আর সংগ্রামী ইতিহাস। উদ্বোধনের পর এ জাদুঘরে দেখা যাবে শৈশব থেকে শুরু করে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি বাঁকে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ভূমিকার ডিজিটাল শিল্পকর্ম। দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দে্যর জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাদুঘরে টাচ স্ক্রিন থাকছে সারি সারি। তাতে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসছে ছবি, ভাষণ ও জাতির পিতার ভিন্ন ভিন্ন সময়ের প্রামাণ্যচিত্র। মনিটরে চাপ দিলেই ভেসে ওঠে এক মহানায়কের জীবনের মহাকাব্য।
দেওয়াল জুড়ে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ সব ছবিও রয়েছে, আছে তার ব্যবহূত চশমা, প্রিয় তামাক পাইপ আর মুজিব কোটের প্রতিরূপও। বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা চিঠি আর বইও শোভা পাচ্ছে জাদুঘরে। দেশে-বিদেশে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাষণও আছে এতে। ১৯২০ থেকে ১৯৭৫—ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ের যেন জীবন্ত প্রামাণ্য দলিল এ জাদুঘর। দেশের সবকটি রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত দিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি দাঁড়ানো থাকবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রান্তিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনগাথা ছড়িয়ে দিতে ভ্রাম্যমাণ এ জাদুঘরের সূচনা।