আজ সোমবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ (ঢামেক) দেশের সব মেডিকেল কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও আবাসিক হলে উঠানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত বছরের মার্চে অন্যসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সব মেডিকেল কলেজও বন্ধ করা হয়।
রোববার ঢামেক ছাত্রাবাস ডা. ফজলে রাব্বী হলের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাসানুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যেও আমরা হলে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছি। তবে ১৫ দিন ধরে হল সংরক্ষিত রেখেছি। শিক্ষার্থী নয়-এমন কাউকে হলে থাকতে দেওয়া হবে না। করোনার পাশাপাশি দেশে ডেঙ্গির প্রকোপ চলছে, তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গতি বাড়ানো হয়েছে। সব কাজ শেষে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে তোলা শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা পেয়েছে। তবে আমাদের একটা সমস্যা হলো-একদল শিক্ষার্থীর ফাইনাল ভাইভা চলছে। সেজন্য আমরা জোরালোভাবে মুভমেন্ট করতে পারছি না। এটা হয়তো বা ১০-১৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তখন আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিঞা যুগান্তরকে বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা উঠছেন। ক্লাস রুটিনও করা হয়েছে। আমরা আপাতত লেকচার ক্লাসগুলো অনলাইনে নেব। আর টিউটোরিয়াল, প্রাক্টিক্যাল ক্লাসগুলো নেব সশরীরে। এক্ষেত্রে ছোট ছোট গ্রুপে করা হবে। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় হলের বড় রুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উঠতে হয়। তাই আমরা রুমগুলোয় শতকরা ৩০ ভাগ শিক্ষার্থীকে স্থান দিচ্ছি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আমরা হোস্টেলের বাইরে না যাওয়া এবং বাইরের খাবার না খাওয়ার অনুরোধ করেছি।