মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন সামনে রেখেও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রোববার থেকে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে দেশটির সরকার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ এড়াতে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট, স্কুল, বার, রেস্তোরাঁ এবং জনসমাগমস্থল কমপক্ষে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে।
তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিধিনিষেধ জারি করা ‘অপরিহার্য’ ছিল বলে জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। একই সঙ্গে তিনি দেশের নাগরিকদের বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিশ্বের দেশে দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নতুন এ ধরনটি ৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে। করোনার যেকোনো প্রজাতির চেয়ে এটি দ্রুত মানুষকে সংক্রমিত করছে। সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সব দেশকে সতর্ক হতে বলছেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত এ রূপটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলো বিধিনিষেধ আরও কঠোর করছে। তবে ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর নেদারল্যান্ডস সরকারের ঘোষিত এই নিষেধাজ্ঞাই সবচেয়ে কঠোরতম।
স্থানীয় সময় রোববার থেকে নেদারল্যান্ডসে নতুন এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। এর আগে দেশটির সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বৈঠকের পর লকডাউনের ঘোষণা আসে।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেছেন, আবারও লকডাউনে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস। এটিই অনিবার্য। কারণ করোনার নতুন এ ধরনটির অভিঘাত দ্রুতই আমাদের ওপর আসছে। আমাদের নাগরিকরা এ বিষয়টি বুঝতে পারবেন, আমি তা মনে করি।
ওমিক্রন মোকাবিলার অংশ হিসেবে জনসমাগম এড়াতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নেদারল্যান্ডসে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে কারফিউ জারি রয়েছে।
গত বছরের শুরুতে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে দুই কোটি ৯৬ লাখ ছয় হাজার ৭৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২০ হাজার ৪২০ জন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ১৪ হাজার ৬১৬ জন আক্রান্ত ও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।