দুই বছর পর সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উদ্দেশে ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি)। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে তিনদিনের এই সম্মেলন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ আড়াই বছর পর জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলন হচ্ছে। বছরের শুরুতেই ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি ডিসি সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হলেও পরে তা পেছানো হয়েছে। নির্দিষ্ট করা হয়েছে ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২২’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান এবার ডিসি সম্মেলন শেষ হবে ২০ জানুয়ারি। ডিসি সম্মেলনে এবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুধু ১৫ জন মন্ত্রী ও ১৫ জন সচিবকে আমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এবার সম্মেলনে মোট ২৫টি অধিবেশন হবে। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২১টি। এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা গ্রহণ নিয়ে একটি, স্পিকারের শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে একটি অধিবেশন হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘সম্মেলনে মোট ৫৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৬৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পাওয়া গেছে ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত। এ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রস্তাব ১৮টি। এরপর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় (১৬টি প্রস্তাব) ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত (১৫টি) প্রস্তাব বেশি পাওয়া গেছে।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৪ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫দিন জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়েছে। এরপর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে গত দুই বছর (২০২০ ও ২০২১) জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়নি। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতিবছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।