টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়। এতে গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপদাহে জেলার খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
এর আগে গত ১৯ ও ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা ছিল চলতি মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ এবং আরেক দিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আজ আবার জেলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি পেরিয়েছে।
এদিকে তীব্র গরম ও রোদের তাপে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করেছেন। তীব্র তাপদাহে আম ও লিচুর ক্ষতি হচ্ছে। অনেক লিচু ঝরে পড়ে যাচ্ছে।
শহরের রিকশাচালক ওহাব উদ্দিন বলেন, প্রচণ্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। দুপুর হলেই ক্লান্তিতে রিকশার প্যাডেল আর চলছে না। বিকেলের আগেই বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বাষট্টি আড়িয়া গ্রামের দোকানি শাহিন সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরে পটল তুলতে এসেছিলাম। প্রচণ্ড রোদের কারণে গরমে নাজেহাল অবস্থা। অনেক কৃষক মাঠে কাজ করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে কাজ করা দুষ্কর হয়ে পড়ছে তাদের।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ধারাবাহিকভাবে টানা তিন দিন দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও কিছু দিন এটা অব্যাহত থাকবে।