‘লাথি’ বিতর্ক! গতবার ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালীন স্টাম্পে লাথি মেরে আলোচনার জন্ম দেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তৎকালীন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এবার আজ (শনিবার) মিরপুরের ড্রেসিংরুমের দরজায় লাথি দেন মোহামেডানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিবের সেই কাণ্ড নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছে। তবে মাহমুদউল্লাহর ঘটনা মাঠের ভেতরের অংশ না হওয়ায় ঝামেলা ছাড়াই পার পেয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় স্টেডিয়ামে নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্সের মুখোমুখি হয় ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। এ ম্যাচে রূপগঞ্জের বিপক্ষে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে মাঠের বাইরে থাকা মাঠকর্মীদের দিকে ব্যাট উঁচিয়ে কিছু একটা বলতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে। সে সময় রাগে ফুঁসতে থাকা মাহমুদউল্লাহ ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করেন দরজায় সজোরে লাথি দিয়ে।
মিরপুরের অসমান বাউন্সের উইকেট নিয়েই হয়তো মাহমুদউল্লাহর যত হতাশা। উইকেটে অনেকটা স্লো থাকায় ম্যাচের শুরু থেকে বল প্রায়ই নিচু হয়ে আসছিল। এতে ভালোই সুবিধা নিয়েছেন রূপগঞ্জের বোলাররা। এমনকি মাহমুদউল্লাহ যে বলটিতে আউট হয়েছেন, এনামুল হক জুনিয়রের সেই বলটি অস্বাভাবিক নিচু হওয়ায় কাট শট খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ।
সেই ঘটনা নিয়ে ম্যাচ অফিশিয়ালের রিপোর্টে কী আছে? ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্বের পর ম্যাচ রেফারি শওকতুর রহমান চিনুর কাছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে অফিশিয়াল একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে হয় না। এটা বড় কোনো সমস্যা মনে হয়নি। তারপরও একটা প্রটোকল আছে, সেই অনুযায়ী আমরা আম্পায়ারদের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
সুপার লিগের দৌড়ে থাকতে ম্যাচটা মোহামেডান জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আগে ব্যাটিং করতে এসে অসম উইকেটে সুবিধা করতে পারেনি সাদাকালো শিবির। ১১.৫ ওভার বাকি থাকতে ১৪৩ রানে ইনিংস গুটিয়ে যায় মোহামেডান। ছোট রান তাড়ায় খুব একটা বেগ পেতে হয়নি রূপগঞ্জকে। ১৩.৪ ওভার থাকতেই ৭ উইকেটের জয়ে সুপার লিগের দৌড়ে টিকে রইলো তারা। বড় হারে পথটা কঠিন হয়ে উঠলো মোহামেডানের।