বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্ভাব্য যে সময় ঠিক করেছে তার আগে আগামী সংসদ নির্বাচন হতে পারে এমন গুঞ্জন চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে আগাম নির্বাচনের এমন সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগাম ভোটের (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) কোনো প্রশ্নই আসে না। আগাম ভোটের কোনো প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি না। আমরা আগামী ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার কথা জানানো হয়েছে। এখনও সেই অবস্থানেই আছে সংস্থাটি।
সিইসি বলেন, একাডেমীকেলি আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, যেকোনো কারণে সংসদ যদি ভেঙ্গে যায়, তবে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ওটাকে কেউ মিসকনসিভ করে প্রচার করেছে যে আগাম নির্বাচনের সম্ভবনা আছে।
সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা সব সময় চেয়েছি সব দল অংশগ্রহণ করুক। এজন্য আবারও চিঠি দিয়েছি বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে, অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও করতে চেয়েছি।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলব, যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়, তবে কেন্দ্রগুলোতে যে ভারসাম্য সৃষ্টি হয় সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো কেবল করে না, সেখানে সনাতন প্রক্রিয়া হচ্ছে দলগুলো থাকবে, তাদের একনিষ্ট এজেন্টরা থাকবে। তারা মিলে এ সাতটা-আটটা ঘণ্টা কাজ করবে। তারা যদি না থাকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভেতরে থাকবে না। কাজেই বাইরেরটা আমরা দেখতে পারব। কিন্তু ভেতরেও কারচুপির সুযোগ থাকে। কাজেই তারা যদি আলোচনা করে একটা গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি এনে দেন, আমাদের জন্য অনুকূল হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করা নিজেদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছে ইসি।