লওয়ে সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী বছর জুনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রেলসেবা সপ্তাহের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন রেলমন্ত্রী। রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান ও চকলেট বিতরণ করেন। পরে আয়োজিত আলোচনা সভায় রেলমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ নভেম্বর রেলওয়ের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। ১৮৬২ সালের এই দিনে ব্রিটিশ সরকার সর্বপ্রথম এ অঞ্চলে ট্রেন চালু করেছিল।’
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরি। এক সময় রেল অবহেলিত ছিল। রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়ার পরে রেলওয়ের উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে রেলের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে।’
রেলমন্ত্রী কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ঢাকা টঙ্গীর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন, টঙ্গী জয়দেবপুরের মধ্যে দ্বিতীয় রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ডাবল লাইন নির্মিত হচ্ছে। এটি নির্মিত হলে উত্তর—পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ উন্নত হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় আগামী জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চালু হয়ে যাবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী বছর জুনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন আগামী জুনে চালু হয়ে যাবে। সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সারা দেশের মিটারগেজ রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে। এ ছাড়া আমরা ভবিষ্যতে ইলেকট্রিফিকেশনের মাধ্যমে ট্রেন চালু করর।’
যাত্রীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘রেলের সম্পদ জনগণের। যাত্রীদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্য থেকে যাত্রীদের সেবা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। ’বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। আরও বক্তব্য দেন রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আকন্দ।