যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মাঝ আকাশে হারিয়ে যাওয়ার পরদিন সেটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা সাউথ ক্যারোলিনায় বিধ্বস্ত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে।
এর আগে মাঝ আকাশে হারিয়ে যাওয়া এই ফাইটার জেটের সন্ধান পেতে সাধারণ মানুষের সাহায্য চেয়েছিল সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা অবশেষে সোমবার সাউথ ক্যারোলিনায় বিধ্বস্ত সেই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। যদিও ওই যুদ্ধবিমানটি হারিয়ে যাওয়ার আগে সেটির পাইলট আকাশে ‘ইজেক্ট’ করে এয়ারক্র্যাফট থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন।
কিন্তু পরে বিমানটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে এবং ঘটনার সময় যুদ্ধবিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য সাউথ ক্যারোলিনার আকাশে উড়ছিল।
পরে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান হারিয়ে যাওয়ার পর সেটির সন্ধান পেতে জনসাধারণের কাছে সাহায্য চায় কর্তৃপক্ষ। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, আপনারা হয় নিখোঁজ মাল্টিমিলিয়ন ডলারের এই বিমানটি খুঁজে বের করুন অথবা যে স্থানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা চিহ্নিত করে খবর দিন।
চার্লসটনের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিখোঁজ বিমানটি সন্ধানে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে জয়েন্ট বেইজ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘যদি আপনার কাছে এমন কোনও তথ্য থাকে যা আমাদের উদ্ধারকারী দলগুলোকে নিখোঁজ এফ-৩৫ শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে, তাহলে অনুগ্রহ করে বেইজ ডিফেন্স অপারেশন সেন্টারে কল করুন।’
এর একদিন পর সোমবার নিখোঁজ সেই যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
ওই সেনা ঘাঁটি থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘জয়েন্ট বেইজ চার্লসটন এবং এমসিএবিউফোর্টএসসি-এর কর্মীরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে উইলিয়ামসবার্গ কাউন্টিতে একটি ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। ধ্বংসাবশেষটি জয়েন্ট বেইজ চার্লসটন থেকে উত্তর-পূর্বে দুই ঘণ্টার দূরত্বে আবিষ্কৃত হয়েছে।’
এফ-৩৫ মডেলের যুদ্ধবিমান বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে একটি এবং লকহিড মার্টিনের তৈরি এই বিমানগুলোর প্রতিটির দাম প্রায় ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে বার্তাসংস্থা এএফপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের তথ্য অনুসারে, অত্যাধুনিক এই ফাইটার জেটের প্রধান সুবিধা হলো এটি রাডার দিয়ে ট্র্যাক করা প্রায় অসম্ভব এবং এটি উন্নত সেন্সর ও অন্যান্য গিয়ারে পরিপূর্ণ।