একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটি খুব নিচু দিয়ে উড়ছিল এবং উচ্চতা বাড়াতে প্রাণপন চেষ্টা করছিলেন এর চালক। তবে সবকিছু ব্যর্থ করে দিয়ে ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে মাটিতে আছড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি এবং মুহূর্তেই বিশাল আগুনের গোলায় পরিণত হয়। লন্ডনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে উড়োজাহাজটির ফুয়েল ট্যাঙ্ক পূর্ণ ছিল।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লাইটটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান যাত্রী হিসেবে ছিলেন।
এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ সম্পর্কে উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের পথে চলাচলকারী বিমানটি সম্পর্কে নতুন করে কোনো তথ্য পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হবে।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। এ সময় কমপক্ষে ২৪টি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে পৌঁছে এবং আহতদের সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ ওই এলাকাটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতের বেসরকারি বিমান চলাচলবিষয়ক মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিনজারাপু বলেছেন যে, তিনি নিজে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সব জরুরি সাড়া প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে ত্বড়িৎ ও সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মন্ত্রী বলেন, উড়োজাহাজটির সব আরোহী ও তাদের পরিবারের জন্য আমি প্রার্থনা করছি।
ভারতের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি চালাচ্ছিলেন আট হাজার ২০০ ঘণ্টা আকাশে উড়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্যাপ্টেন সুমিত সুভারওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন এক হাজার ১০০ ঘণ্টা আকাশে উড়ায় অভিজ্ঞ ক্লাইভ কুন্দর। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তারা ‘মে ডে’ কল দিয়েছিলেন।
