বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত ‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে কিছুদিন হয়ত ক্ষমতায় থাকা যাবে। তবে আজ হোক বা কাল আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই সরকারের বিদায় করেই ঘরে ফিরব।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, এই বয়সে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি বিবেকের তাড়নায় রাজপথে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ আজ খাদের কিনারায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের যে সনদ সাম্য, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র এখানে নেই। পরপর কতগুলো প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরে একজন রাজবন্দির মৃত্যু হয়!
দিলারা চৌধুরী বলেন, আজকে সবাই চিন্তা করুন ও ভাবুন আমরা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি? মনে রাখতে হবে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।
নির্বাচন প্রসঙ্গে দিলারা চৌধুরী বলেন, এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করুন। আজ ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাহলে আপনার আমার অবস্থা কোথায়? আপনারা বাংলাদেশকে কোথায় নিতে চান? চলমান আন্দোলন শুধু বিএনপির একার নয়। এটা দেশের সকল জনগণের আন্দোলন।
ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কেননা দেশের মানুষ বিগত কোনো নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোটের স্বাদ পায়নি। অথচ জনগণ ভোট দিতে চায়। সুতরাং আমরা এই সরকারের আসন্ন প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করছি।
সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া মানে ডাকাতি। সুতরাং সচেতন দেশবাসী ও সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আহ্বান আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করুন। সেই সঙ্গে সরকারের বিদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।
অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, সাবেক যুগ্ম সচিব তপন মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, কৃষিবিদ ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, ড. এমতাজ হোসেন, ড্যাবের ডা. মো. মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, রফিকুল ইসলাম, ডিইউজের সাঈদ খান, এ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষার, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, মৎস্যজীবী দলের অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এম এ করিম, আবদুল্লাহিল মাসুদ, যুবদলের কামাল আনোয়ার আহমেদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।