চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গুলি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিনসহ তিনি থেকে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চন্দনাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজনু মিয়া বলেন, একটি সভায় দুই গ্রুপের মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু গুলির বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শোকসভায় ছাত্রলীগের নতুন কমিটির আহ্বায়ক বক্তব্য দিতে উঠলেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুই গ্রুপ মারামারিতে জড়ায়। সভা শেষ হওয়ার পর গুলিতে তিন থেকে চারজন আহত হন। আমি শহরে চলে যাচ্ছি। এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহম্মদ জুনু বলেন, সন্ত্রাসীরা শোকসভার অনুষ্ঠান পণ্ড করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। না পেরে সভা শেষ হওয়ার পর গুলির ঘটনা ঘটিয়েছেন। এতে আমাদের তিন থেকে চারজন অনুসারী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সোমবার চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোকসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। সেই সভায় স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরাও উপস্থিত ছিলেন।