আওয়ামী লীগের হাত থেকে বাঁচার জন্য দেশের জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ ও সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা কথা বলছে বিএনপি। তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেবে কেনো? প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের মানুষ শাসক দলের ওপর অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ দেশের যে অবস্থা তৈরি করেছে তাতে মানুষের জীবনে কোনো নিরাপত্তা নেই। জীবিকারও কোনো নিরাপত্তা নেই। চারদিকে ভয় ও ত্রাস। সন্ত্রাস ছাড়া আর কোনো কিছুই নেই। মানুষ অতিষ্ঠ। তাই তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে।
তিনি আরও বলেন, ১০ টাকা কেজির চাল খাওয়াবেন বলে তারা ক্ষমতায় এসেছিলেন। এখন চালের কেজি ৭০ টাকা। দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তারা বিনা পয়সায় সার দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাও দেননি। তাই মানুষ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার জন্য বিএনপিকে ভোট দেবে। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন কিভাবে গঠিত হবে এবং ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার কি করছে, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আপনারা তো বেশ কয়েকটি নির্বাচন দেখলেন। সর্বশেষ নির্বাচনে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। তবে অনেকে নির্বাচন নষ্ট করতে চায়। এরপরও নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি যে নির্বাচন নিয়ে এতো প্রশ্ন তোলে, তাদের জন্মটা কিভাবে? তারা কি কখনো জনগণের দাবি আদায়ে কোনো আন্দোলন করেছে? তারা জানে নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণেই তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা কথা বলছে।
এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যে কোনো নির্বাচন কমিশন হোক, নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয় না। এটা আমার মুখের কথা নয়। এটা আগেও অনেকে বলেছেন। নির্বাচন কমিশন যদি ভালোও হয়, সরকার তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এর আগেও সার্চ কমিটি দিয়ে কমিশন গঠন করা হয়েছে। সার্চ কমিটির নামে নিজস্ব লোক দিয়ে কমিশন গঠন করা হয়। সার্চ কমিটি একটি ধোঁকা।