জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনএসপি) যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরে তিনি এ দাবি জানান।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন আরিফ সোহেল।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আরিফ সোহেলের দেওয়া ওই স্ট্যাটাস নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হুবহু তুলে ধরে পোস্ট করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
ওই স্ট্যাটাসে আরিফ সোহেল বলেছেন, আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু শুধু নিষিদ্ধের দাবি তোলাটা যথেষ্ঠ নয়। কেন যথেষ্ট নয় সেই শিক্ষা আমাদের হাড়ে হাড়ে হয়েছে। কীভাবে? নির্বাহী আদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার পরে।
আরিফ সোহেল বলেন, আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ হলেও তাদের নেতাকর্মীরা উন্মুক্ত ঘোরাফেরা করছেন, আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। পুলিশ তো কদাচিৎ দুই একটা ধরে, বাকিদের ছাত্র-জনতা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধরিয়ে দিলেও দুই, একদিনেই জামিন হয়ে যায়। অর্থাৎ শুধু নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে একটা সাইন করা কাগজ ধরিয়ে দিলেই মেনে নেওয়া যাবে না।
কিংবা এই সাইন করা কাগজটা আদায় করাটাই এখন প্রধান দাবি বানিয়ে ফেলা যাবে না। কারণ দিনশেষে এই কাগজটা যে একটা ইউজলেস ত্যানা ছাড়া কিছু না এইটা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরে প্রমাণ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বরং জুলাই গণহত্যাকারী ছাত্রলীগসহ, আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিকে প্রধান দাবি করে তুলতে হবে।
আপনাদের কি মনে হয়, বিচার ঠিকঠাক হইলে আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসংগঠন লিগ্যাল থাকতে পারবে? ইম্পসিবল, বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে যেভাবে সংগঠন হিসেবে অপকর্মের দায়ে নাৎসী পার্টি নিষিদ্ধ হয়েছিলো ঠিক সেইভাবে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগসহ সকল লীগ নিষিদ্ধ হবে প্রমাণিত ও পরীক্ষিত বিচারিক রায়ে।
তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ, তবে একটা কাগজ লাগবে। সেটা হচ্ছে বিচার কমপ্লিট না হওয়ার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি। এটা আদায় করতে হবে। তাহলে এভাবে মিছিল দিয়ে বেড়াতে পারবে না।