বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কাছাকাছি অবস্থিত দুটি আগ্নেয়গিরিতে সৃষ্টি হয়েছে ফাটল। এই ফাটল থেকে বেরিয়ে আসা লাভা ঢুকে পড়েছে মাছ ধরার শহর গ্রিনদাভিকে।
খবরে বলা হয়েছে, রোববার সকালে শহরের এক কিলোমিটার দূরে প্রথম ফাটল সৃষ্টি হয়। সেই ফাটলের লাভা অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এরপর সন্ধ্যার দিকে শহর থেকে মাত্র ৩২০ ফুট দূরে দ্বিতীয় ফাটলের সৃষ্টি হয়। এর থেকেই শহরে ঢুকে পড়েছে লাভা।
দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত রেকেনেস পেননিসুলা। সেখানেই আছে এই আগ্নেয়গিরিটি। রোববার সকাল থেকে আকাশ লাল করে লাভা স্রোত বার হচ্ছে ওই আগ্নেয়গিরিটি থেকে। লাভার যে দেওয়াল এতদিন পর্যন্ত সেখানে ছিল, তা ভেঙে ক্রমশ লাভাস্রোত নিচের দিকে নামতে থাকে। পাহাড়ের নিচেই আছে গ্রিনদাভিক শহর। মৎসজীবীদের ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে লাভাস্রোত। তার আগেই অবশ্য একরাতের মধ্যে পুরো শহর খালি করে দেয়া হয়েছিল।
লাভাস্রোত শহরে ঢুকে যাওয়ার পর বাসিন্দারা সেখানে ফিরে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অগ্নুৎপাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়।
দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বোঝা সম্ভব নয়। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে সরকার। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অগ্নুৎপাতের জন্য এখনো কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রোববার সকাল ৭টা ৫৭ মিনিটে প্রথম অগ্নুৎপাত শুরু হয় আগ্নেয়গিরিটি থেকে। যেখানে এই ঘটনা ঘটছে সেখান থেকে আইসল্যান্ডের রাজধানী মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে। ওই গোটা অঞ্চলে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে।
২০২১ সাল থেকে রেকেনেস পেননিসুলায় এটি পঞ্চম অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। পৃথিবীর বৃহত্তম দুটি টেকটোনিক প্লেট ইউরেশিয়ান ও নর্থ আমেরিকার মাঝখানে মিড-আটলান্টিক রিজে অবস্থিত দেশ আইসল্যান্ড। এখানে রয়েছে ৩৩টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।