দেখতে দেখতেই শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে আইপিএল। আর এবারের আসরে কোন চার দল প্লে অফে যাবে তা বেশ জমে ওঠেছে ইতোমধ্যেই। এখনো পর্যন্ত কোনো দলের শেষ চারের জায়গা নিশ্চিত হয়নি। একই সঙ্গে প্লে-অফের সুযোগ কাগজে-কলমে শেষও হয়ে যায়নি কোনো দলের জন্যই। এদিকে গতকাল রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে প্লে-অফের সমীকরণ আরও জমিয়ে তুলেছে দিল্লী ক্যাপিটালস।
আইপিএলের এবারের আসরে পয়েন্ট টেবিলের সবার উপরে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এখনো পর্যন্ত ১১টি ম্যাচ খেলে ৮ টিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের হাতে আছে এখনো ৩টি ম্যাচ। এই তিন ম্যাচের একটিতে জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত হবে শ্রেয়াস আইয়্যারের দলের।
এদিকে কলকাতার সমান ১১টি ম্যাচ খেলে সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে রাজস্থান রয়্যালস। গতকাল দিল্লীর বিপক্ষে জিতলে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিতের সুযোগ ছিল সঞ্জু স্যামসনের দলের। কিন্তু ২০ রানে হেরে যাওয়ায় সে অপেক্ষা আরও বাড়ল দলটির।
শীর্ষে থাকা এই দুই দলের পর তিন, চার, পাঁচ এবং ছয় নম্বরে আছে যথাক্রমে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লী ক্যাপিটালস এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। এই চারটি দলেরই পয়েন্ট ১২, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং লক্ষ্ণৌ খেলেছে সমান ১১টি করে ম্যাচ, আর দিল্লী খেলেছে ১২টি। দিল্লী গতকাল রাজস্থানের বিপক্ষে জিতে প্লে অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে হাতে থাকা দুই ম্যাচে না জিততে পারলে শেষ চারে জায়গা পাওয়া অসম্ভব হয়ে যাবে রিশভ পন্তের দলের জন্য।
এদিকে ১১ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিন থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল চেন্নাইয়ের হাতে আছে আর তিনটি ম্যাচ। এই তিন ম্যাচের অন্তত দুইটিতে জিততে পারলে সেফ জোনে চলে যাবে দলটি। আর না হলে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে।
পয়েন্ট টেবিলে চেন্নাইয়ের পরেই আছে হায়দরাবাদ। মুম্বাইয়ের কাছে সবশেষ ম্যাচে হেরে নিজেদের সমীকরণ অনেকটাই কঠিন করে তুলেছে দলটি। বাকি থাকা তিন ম্যাচের অন্তত দুইটিতে জিততেই হবে শেষ চারে জায়গা পেতে হলে, আর আজ লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ম্যাচে জিততে পারলে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে দলটি।
অনেকটা একই সমীকরণ লক্ষ্ণৌয়ের সামনেও। কলকাতার বিপক্ষে হেরে শেষ চারের জায়গা হারিয়েছে দলটি, সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় চেন্নাই এবং হায়দরাবাদের পেছনে আছে তারা, আজ হায়দরাবাদের বিপক্ষে জিতলে শেষ চারের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে লোকেশ রাহুলের দল, এরপর বাকি দুই ম্যাচের একটিতে অন্তত জিততেই হবে তাদের, নয়তো তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর হিসেব-নিকেশের দিকে।
পয়েন্ট টেবিলে এর পরের চারটি দলেরই পয়েন্ট সমান ৮ করে। সাত, আট, নয় এবং দশ নম্বরে আছে যথাক্রমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাট টাইটান্স। মুম্বাই খেলেছে ১২টি ম্যাচ, বাকি তিনটি দল খেলেছে সমান ১১টি করে ম্যাচ।
কাগজে কলমে এখনও ফুরিয়ে যায়নি বিরাট কোহলিদের প্লে অফ খেলার আশা। তবে শেষ চারে জায়গা পেতে হলে হাতে থাকা তিন ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না ব্যাঙ্গালুরুকে, সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে অন্য দলগুলোর জয়-পরাজয়ের দিকেও। একই অবস্থা পাঞ্জাব কিংসের। হাতে থাকা তিন ম্যাচে জিতলেও নিশ্চয়তা নেই প্লে অফে খেলার।
এদিকে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাইয়ের প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। হার্দিক পান্ডিইয়ার দলের হাতে বাকি আছে আর দুই ম্যাচ। কলকাতা আর লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে মুম্বাই যদি জিতেও যায়, এরপরও প্লে-অফের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। পয়েন্ট টেবিলে সবশেষে আছে গুজরাট টাইটান্স। গতবারের ফাইনালিস্ট দলটি নিজেদের সবশেষ তিন ম্যাচে মুখোমুখি হবে চেন্নাই, কলকাতা এবং হায়দরাবাদের বিপক্ষে। এই তিন ম্যাচের একটিতে হারই তাদের ছিটকে দিবে প্লে অফ থেকে। আর তিনটিতে জিতলেও ভাগ্যের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে শুবমান গিলদের।