চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রায় সবগুলো ম্যাচই হচ্ছে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে। পাশাপাশি আছে ইম্প্যাক্ট সাবের সুবিধা। সবমিলিয়ে এবারের আসরে রানবন্যা চলছে। ব্যাটারদের এমন তাণ্ডবের মধ্যে যেন দিশেহারা নাবিক বোলাররা! রীতিমতো অথৈ সাগরেই পড়েছেন তারা। মিচেল স্টার্ক, আনরিক নরকিয়ে, কাগিসো রাবাদা কিংবা রশিদ খানদের মতো তারকারাও পায়ের তলায় মাটিয়ে খোঁজে পাচ্ছেন না।
বোলারদের এমন খারাপ অবস্থার চিত্রটা আরও স্পষ্ট পরিসংখ্যানে। চলতি মৌসুমে বোলাররা ওভারপ্রতি গড়ে ৯.৪৯ রান করে দিয়েছেন। এবার দলগুলো আড়াই শ রানের কোটাই ছুঁয়েছে ৭ বার। একটা টি-টোয়েন্টি আসরের মাঝপথে এমন পরিসংখ্যান অবাক করার মতোই।
বোলারদের এমন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ গতকাল রাতে তিনি লিখেছেন, ‘অনুগ্রহ করে কেউ “বোলারদের বাঁচান”।’ পাশাপাশি ‘এসওএস’ শব্দটিও তিনবার লিখেছেন এই স্পিনার। এই ইংরেজি শব্দের অর্থ—‘সেভ আওয়ার সোলস।’ অর্থাৎ আমাদের জীবন বাঁচাও।
গতরাতে আইপিএল রীতিমতো রান উৎসব হয়েছে। ইডেন গার্ডেনে আগে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছিল কলকাতা। স্বাগতিকদের সেই পাহাড় টপকাতে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো পাঞ্জাবকে। ২৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব।
কলকাতা–পাঞ্জাব ম্যাচ নিয়ে আরও দুটি পোস্ট করেছেন অশ্বিন। দুই ইনিংস মিলিয়ে রান হয়েছে ৫০০ এর বেশি। এ নিয়ে অশ্বিন লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ২৬০+ রান তাড়া করতে নেমে সর্বশেষ ২ ওভারেই বলে বলে রান উঠেছে। এটা হজম করতেও সময় লাগে।’
পাঞ্জাব–কলকাতা ম্যাচ নিয়ে অশ্বিনের শেষ পোস্ট, ‘ধারাভাষ্যকার এই মাত্র বললেন ইডেন গার্ডেনের বাউন্ডারি সীমানার দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক।’ লেখার শেষে হাসির ইমোজি ব্যবহার করেছেন অশ্বিন। সর্বোচ্চ ৪২ ছক্কার রেকর্ড গড়া ম্যাচটি স্বাভাবিক বাউন্ডারি সীমায় খেলা হয়েছে—এটা কোনোভাবেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না অশ্বিন।