বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, ঢাকায় কাল লাখো মানুষের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবি জানান। অথচ আইনমন্ত্রী এক কথা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন আরেক কথা। তাদের কথার মধ্যে কোনো ভারসাম্য নেই।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ১৮ কোটি মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বাংলাদেশে তার রোগের চিকিৎসা নেই। ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন, শুধুমাত্র লন্ডন, আমেরিকা এবং জার্মানি ছাড়া এ লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা সম্ভব নয়। অথচ সব নিষ্ফল আবেদন, যে সরকারটি ক্ষমতায়, একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকার যার কানে জনগণের দাবি, রাজনৈতিক দলের দাবি, গণতন্ত্রের দাবি পৌঁছায় না। তারা সবাইকে উপেক্ষা করে দেশের অপশাসন চালু করেছে গত ১৫টি বছর ধরে। আর সেই অপশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে বেগম খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
তিনি বলেন, এই অপশাসন ফ্যাসিবাদী শাসনের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ। তাই খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ কয়েক লাখ নেতাকর্মী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। আর প্রকৃত অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
বিএনপির এ নেতা বলেন, জনগণ জেগেছে, জনগণ জেগে উঠেছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। গণতন্ত্রের জন্য আমরা রক্ত দিচ্ছি প্রতিদিন, প্রাণ দিচ্ছি প্রতিদিন। গতকালও বেগম খালেদা জিয়া উন্নতি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় কোটি কোটি মানুষের সমাবেশ হয়েছে।
সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের সহকারী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দীন মজুমদার, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সহ-সভাপতি সেলিনা আকতার বীনা প্রমুখ।