বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে তাকে ভৈরব রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভৈরব থানা ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, হত্যার পর চন্দন আত্মগোপনে চলে যান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, চন্দনকে চট্টগ্রামে এনে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্মিলিত সনাতন জাগোর জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ শুরু করে তার অনুসারীরা। এসময় চিন্ময়ের প্রিজন ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আশপাশ এলাকায়। ওই সময় রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর এবং পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ।
এছাড়া সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাইফুলের ভাই ১১৫ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি আরো একটি মামলা করেন কোতোয়ালি থানায়।