এই তো চার বছর আগে অভাবের সঙ্গে নিত্যবাস ছিল আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের। কিন্তু এখন তিনি কোটিপতি! বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন কিনেছিলেন এই ইউটিউবার। তাতে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর হলফনামায় তার এসব সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে।
তবে এ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হিরো আলম। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় থাকে যে তিলকে তাল বানায়। আমার হয়তো জমা দেওয়ার কথা ২০ লাখ তারা হয়তো ৫০ লাখ করে দিয়েছেন। লিখতে তো আর সমস্যা হয় না, বলতেও সমস্যা হয় না। দেখতে হবে কোটি কোটি টাকা আছে কি না! এটা তো আমি চাইলেও লুকিয়ে রাখতে পারব না। কোটি কোটি টাকা আর এত সম্পদ যদি থেকে থাকে তাহলে তো দুদক অবশ্যই খুঁজে দেখবে, আমার এতকিছু আছে কি না।’
তিনি জানান, আইনজীবীর ভুলের কারণে হলফনামায় কোটি টাকা লেখা হয়েছে। হিরো আলম বলেন, ‘সম্পদের পরিমাণ বলতে আমার কিছু ধানি জমি আছে। নতুন একটা বাসা করছি। আর একটা গাড়ি আছে। সম্পদের পরিমাণ কতো হবে! গ্রামগঞ্জে জমির দাম আর কতো হবে! পাঁচ লাখ টাকা কথা বলেছি উকিলকে, শূন্য একটা বেশি বসিয়ে দিয়েছেন। উকিলের ভুলে সম্পদের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এটা আপনারা নিউজ করেছেন। এখন খুঁজে তো দেখতে হবে আমার এত টাকা আছে কি না।’
এদিকে উপ-নির্বাচনের হলফনামায় গড়মিল পাওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। গতকাল রোববার দুপুরে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে এ আদেশ দেন তিনি। এরপর আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন আলোচিত এই প্রার্থী। ইসিতে প্রার্থিতা ফিরে না পেলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন হিরো আলম। যাচাই-বাছাইয়ের দুই দফায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। ভোটের দিনদুপুরে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন হিরো আলম।