বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) ও এ সংক্রান্ত সেবা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সাথে এক আলোচনায় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান। বুধবার (১৪ জুলাই) বেসিস ও ঢাকাস্থ তুরস্ক দূতাবাস কর্তৃপক্ষের মধ্যে অনলাইনে এই আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
সভায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার অতীতের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। বর্তমানে বাংলাদেশে আইসিটি খাতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডের কথা উল্লেখ করে বেসিস সভাপতি বলেন, তুরস্কের আইটি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে। এক্ষেত্রে তারা তাদের লভ্যাংশের শতভাগ দেশে ফিরিয়ে নিতে পারবে। বাংলাদেশ এখন আইসিটি খাতে ১০ লক্ষের উপরে দক্ষ জনবল আছে। এই খাতে তুরস্কের বিনিয়োগের ফলে উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। বেসিস আইসিটি খাতের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী তুরস্কের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসা বাড়বে।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আইসিটি খাতে তুরস্ক ও বাংলাদেশ একসাথে কাজ করতে পারে। দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাতে সফল ব্যবসায়ী সম্পর্ক গড়ে উঠে এজন্য আমরা কাজ করছি। তুরস্কের বাজারে বাংলাদেশের আইটি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সহজে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য বেসিসকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো। বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, আইসিটি খাতের পণ্য ও সেবা রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউরোপ আমাদের প্রাথমিক বাজার। তুরস্ক ইউরোপের বাজারে আমাদের ব্যবসা বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আইসিটি খাতে ব্যবসা বাড়ানোর অবাধ সুযোগ আছে। এই খাতের ব্যবসায়ীরা পরস্পর একসাথে কাজ করলে উভয়েই লাভবান হবে। বাংলাদেশে বর্তমান ব্যবসার পরিবেশ অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো। বিশেষ করে আইসিটি খাতে সরকারের দেওয়া বিশেষ সুবিধা এই খাতে ব্যবসা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে বেসিস ও বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত উভয়ে সহমত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় বেসিস থেকে আরও যুক্ত ছিলেন যুগ্ম-সচিব ইনামুল হাফিজ লতিফী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক নাদিয়া তাবাসসুম।