বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সাজার পরদিন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতিতে দিয়ে বলেছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবরুদ্ধ দশার প্রতীক। বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। সমালোচকদের দমিয়েছে।
অ্যামনেস্টি আরও বলেছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অস্বাভাবিক গতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রম অধিকার-সম্পর্কিত আদালতের মামলায় শম্বুকগতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
বুধবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, অ্যামনেস্টি, টিআইবি এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) একই সূত্রে গাঁথা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। আমরা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে জানতে চাই আমাদের দেশে শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে মামলার যে রায় স্বাধীন আদালত দিয়েছেন সেটা নিয়ে এতো মাথাব্যথা, গাজায় গণহত্যা নিয়ে তাদের কী ভূমিকা। জানতে চাই। সেখানে ৯৪ জন সাংবাদিকদের হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে কিছু বলেছে? এই একজন ব্যক্তির জন্য শ্রমিক অধিকার যে রায়, সে রায়কে তারা কটাক্ষ করছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তো একটা কথাও বলেনি।’
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তার মানে এই দলটি ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। তাদের নাশকতার কর্মসূচি জনগণ অগ্রাহ্য করছে। হরতাল অবরোধ দিলে রাস্তায় যানজট লেগে যাচ্ছে। দূরবর্তী যানবাহনও চলছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মনোভাবের মধ্যে যে পরিবর্তন সেটা তাদের আসল কথা নাও হতে পারে। তারা বলে একটা, করে আরেকটা। কাজেই তারা সত্য বলেছ এটা বলার সুযোগ নেই। ৪ তারিখ পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করবে। এরপর তাদের কর্মসূচি কী আমরা লক্ষ্য করব। সেটাকে লক্ষ্য করেই আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় আছে। আমরা দলগতভাবেও সতর্ক অবস্থায় আছি।’
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনারদের মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের কোনো আশঙ্কা নেই। তারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এর সাথে আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনার মিল না হলেও আমরা কিছু বলব না। আমাদের সঙ্গে অমিল হলেও আমরা কিছু বলব না।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।